ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে ভাংচুর ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সমবেদনা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা সাজিদুর রহমান।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসে তিনি বলেন, ‘আমি আমার হুজুরদের সঙ্গে করে হরতালের দিন সকালে শান্তিপূর্ণ একটা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম যে শান্তিপূর্ণ হরতাল চলবে। কেউ কোনো ভাংচুর করবে না, সাংবাদিক ও পুলিশ বাহিনী বা অন্য কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যাবে না। যদি কেউ করে আমরা ভেবে নেব সে আমাদের লোক নয়। তারাই হচ্ছে আমাদের শত্রু।’
তিনি আরও বলেন, ‘হরতালের আগের দিন ২৭ মার্চ শহরে থমথমে পরিস্থিতি থাকায় প্রশাসনের সাথে যোগযোগ করে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছিলাম। ২৮ মার্চ হরতালের দিনও শান্তিপূর্ণ মিছিল করে ছাত্রদের নিয়ে মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিই। অতএব কে বা কারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, সরকারি স্থাপনাগুলোতে ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছেন তা আমি জানি না।’
এসব সহিংস ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে তারা কোনো দিন হেফাজতের হতে পারে না। ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদের বের করুন।’
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা আগে যেমন ভাই ভাই ছিলাম, আজ থেকেও আমরা সাংবাদিক-হেফাজত ভাই ভাই হিসেবেই থাকব। এ জন্যই আজকে আপনাদের কাছে আসা। প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি আহত হয়েছেন তার খোঁজ-খবর নিতে হেফাজতের নেতাদের নিয়ে বাসায় গিয়েছিলাম। আমরা সমস্ত ভাংচুরের প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি ভাঙচুরকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা মনে করি যারা এসব সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে তার পেছনে উসকানিদাতা রয়েছে। এই উসকানিদাতাকেও চিহ্নিত করা দরকার এবং যারা ভাংচুর করেছে তাদেরকেও খুঁজে বের করা দরকার। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ জাতি চায় আপনারা সত্য ঘটনা প্রকাশ করবেন।
‘যদি কোনো কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে আজকের আমরা এসেছি তার মীমাংসার জন্য। আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। আমাদের দুঃখ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের জন্য আমাদের কর্মসূচিটা বিফলে গিয়েছে। এ জন্য আমরা নিন্দা জানাই ও দোষীদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মুফতি নোমান হাবিবী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন, মুফতি মোহাম্মদ এনামুল হাসান, মুফতি জাকারিয়াসহ হেফাজতের আরও অনেক নেতা-কর্মী।